ভারতের জনপ্রিয় ই ওয়ালেটের নাম পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হলো-
- পেটিএম,
- ফ্রিচার্জ,
- মোবিকউইক,
- ফোনপে,
- গুগল পে,
- আমাজন পে,
- ভীম
এগুলো মূলত ভারতের জনপ্রিয় ই ওয়ালেট এপ।
এই MSB Ask কমিউনিটিতে আপনি যেকোনো প্রশ্ন করতে পারবেন, উত্তর দিতে পারবেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। তাই নতুন হলে সাইনআপ করুন, আর আগেই থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকলে লগিন করুন।
ভারতের জনপ্রিয় ই ওয়ালেটের নাম পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হলো-
এগুলো মূলত ভারতের জনপ্রিয় ই ওয়ালেট এপ।
সবচেয়ে জনপ্রিয় এরকম কোন পরিসংখ্যান জানা নেই, কিন্তু জনপ্রিয় গুলির নাম বলা যেতে পারে। যারা একদম প্রথম দিকে অনলাইন ই-ওয়ালেট নিয়ে আসে ভারতীয় বাজারে তাদের মধ্যে বিখ্যাত হল -
এদের মধ্যে পেটিএম ব্যবহারকারীর সংখ্যায় অনেক এগিয়ে। কিন্তু এখন এরকম ই-ওয়ালেটের পরিবর্তে একটি সম্পূর্ণ নতুন ব্যবস্থা এনেছে ভারত সরকার, যেটি হল UPI (Unified Payment Interface) । এই ব্যবস্থার ফলে ই-ওয়ালেটের প্রয়োজনীয়তা প্রায় চলে গেছে। কারণ, আগের পদ্ধতিতে প্রথমে ব্যাঙ্ক থেকে টাকাপয়সা ই-ওয়ালেটে আনতে হয় ও তারপর আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে টাকাপয়সার লেনদেন একদম ব্যাঙ্ক থেকে ব্যাঙ্কে হয় এবং সেটি হয় তৎক্ষণাত। এই পদ্ধতিকে 'ফিস' এই বিশ্বের অন্যতম সেরা লেনদেনের পদ্ধতি বলেছে[1]10 । এই নতুন পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীদের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে -
এদের মধ্যে কে কত এগোবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কে কত আকর্ষণীয় অফার দিতে পারবে ও তার মধ্যে ক্যাশব্যাক অফার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বলেই মনে হয়। এই সব অফার ফোনপে ও গুগলপে অনেক বেশি দেওয়ায় তাদের ক্রেতাও বেশি।
আসলে ভারতে অনেক ছোট বড় অ্যাপ আছে তবে বেশি ব্যবহার হয় এই সার্ভিস গুলো।
এই সার্ভিস গুলো সব একে ওপর থেকে আলাদা। আর ইন্ডিয়া এর মার্কেট বড় হওয়াই যে কোনো মালিক সমিতির লোকরা ও দেশে এমন সার্ভিস এড করতে পারে। যেমনঃ মোবাইল, বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, ডিটিএইচ ডেটা কার্ড রিচার্জ রিচার্জ করার জন্য ফ্রিচার্জ বের করল তারা। যা বাকি গুলো দেই না। আরও ভালও ধারণা পাবেন এই পিকচার দেখার পর।
ভারতে অনেকগুলি ই ওয়ালেট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। যেমন, পেটিএম,ফোনপে, ফ্রীচার্জ, আমাজন পে, মোবিকুইক,গুগুল পে ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন ই ওয়ালেট আছে।
যদি জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বিচার করি তবে সবার প্রথমে আসবে পেটিএম
তারপর ফোনপে
এবং তারপর আসবে গুগুল পে।
শহরাঞ্চল বাদ দিয়ে অন্যান্য যেসব জায়গায় দোকানে ই ওয়ালেট গ্রাহ্য হয় তার প্রায় ৯০% জায়গায় পেটিএমের দেখা মিলবে। ফোনপে এতটা না হলেও ৬০% ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে পারে (অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অনুমানে বলছি। আসল চিত্র আলাদাও হতে পারে)।
এই দুটি আপ্লিকেশনের জনপ্রিয় হবার মূলত কয়েকটি কারণ রয়েছে।
পেটিএমে প্রায় সমস্ত রকমের transaction করা যায়। মোবাইল রিচার্জ, ইলেক্ট্রিসিটি বিল,মুভি টিকিট, ট্রেন টিকিট বুকিং, ফ্লাইট বুকিং, খাবার অর্ডার করা, শপিং করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো অজস্র বিষয় আছে যা আপনি শুধু পেটিএম ব্যাবহার করে করতে পারেন। আজকাল তো পেটিএম ব্যাংকও (RBI অনুমোদিত) খুলে ফেলেছে। তাছাড়াও প্রায় সবসময় কোনো না কোনো ক্যাশব্যাক অফার থাকে।
অপরদিকে ফোনপে হলো আর এক ভিন্ন স্বাদের application। মোবাইল রিচার্জ, ব্রডব্যান্ড বিল, জলের বিল, মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স, ইলেক্ট্রিসিটি বিলের মতো ইত্যাদি সাধারণ কাজ ছাড়াও আরো অনেক কাজ করা যায়। শুধুমাত্র ফোনপে দিয়ে আপনি 40 এরও বেশি application ব্যবহার করতে পারেন! এছাড়াও নানারকম আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে এটিও মার্কেটে বহাল তবিয়তে টিকে আছে। আমি নিজে মোবিকুইক বাদে উপরে উল্লিখিত সমস্ত app ই ব্যবহার করি।
আশা করা যায় বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি এই app গুলি সুরক্ষার বিষয়টাও প্রাধান্য দেবে।