ডাটা স্টোর করার জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ক্লাউড স্টোরেজ। সাধারণভাবে মানুষ কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ, ফোনের মেমোরি কার্ড অথবা পেনড্রাইভে ডাটা সংরক্ষণ করে থাকেন। অনেকে আবার ডিভিডির মাধ্যমে সংরক্ষণ করে থাকে ডাটা। কিন্তু এগুলোর যেকোন টি যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনলাইনে ডাটা স্টোর করা সবচাইতে বেশি নিরাপদ। কারণ ক্লাউড স্টোরেজ গুলোর সিকিউরিটি অনেক বেশি হাই থাকে।
মূলত, সবগুলো ক্লাউড স্টোরেজেরই সুবিধা অসুবিধা আছে। আপনার কি রকম স্টোরেজ দরকার, সে অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। তবে গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স ইত্যাদি হলো প্রচলিত এবং জনপ্রিয় ক্লাউড স্টোরেজ।
ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা তথ্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে জমা হয়। যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের কম্পিউটার বা মুঠোফোন থেকে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ যে কেউ তার সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া যে কেউ চাইলে ব্যক্তিগত ক্লাউড স্টোরেজ তৈরি করতে পারে।
ক্লাউড স্টোরেজের সর্বজনীন ব্যবহারের ফলে এর নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহারে ক্লাউড স্টোরেজে থাকা তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা ও ঘটনা কম নয়। অ্যাপলের আইক্লাউডকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ক্লাউড স্টোরেজ বলা হতো। সেই আইক্লাউডও হ্যাক হয়েছে। তবে ক্লাউড ড্রাইভগুলো নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থাই গ্রহণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবু শতভাগ নিশ্চয়তা বলে কিছু নেই।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।